২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ: এই ৫টি নতুন নিয়ম না জানলে পিছিয়ে পড়বেন

webmaster

আরে বাবা, ফুটবল বিশ্বকাপের কথা শুনলেই তো আমার মনটা কেমন যেন ছটফট করে ওঠে! সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মতো আমিও এই মহাযজ্ঞের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি। চার বছর পর পর এই খেলা আসে আর আমাদের জীবনকে যেন এক অন্য রঙে রাঙিয়ে তোলে। মাঠে খেলোয়াড়দের অবিশ্বাস্য দক্ষতা, অপ্রত্যাশিত জয়-পরাজয়, আর গ্যালারিতে সমর্থকদের উন্মাদনা – সব মিলিয়ে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। আমার তো মনে হয়, এই খেলা শুধু একটা ফুটবল ম্যাচ নয়, এটা যেন এক উৎসব, এক আবেগ, যা দেশ, জাতি, ভাষা সবকিছুর ঊর্ধ্বে মানুষকে এক করে দেয়। বিশেষ করে, আমাদের বাংলাদেশে এর উন্মাদনা তো চোখে পড়ার মতো!

ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার পতাকা যখন পাড়া-মহল্লায় উড়তে দেখি, তখন মনে হয় যেন আমরাই সেই খেলার অংশ।এবার ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ নিয়েও অনেক নতুন খবর আছে, ফরম্যাটে আসছে বড় পরিবর্তন, ৪৮টি দল খেলবে আর ম্যাচ সংখ্যাও অনেক বাড়বে। এমনকি ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপে সৌদি আরব এমন এক ‘স্কাই স্টেডিয়াম’ তৈরির পরিকল্পনা করছে যা আগে কখনও দেখা যায়নি, ১১৫০ ফুট উঁচুতে ফুটবল খেলা!

ভাবুন তো একবার, মেঘের কাছাকাছি ফুটবল ম্যাচ দেখার অনুভূতিটা কেমন হবে! এই সব রোমাঞ্চকর তথ্য আর অজানা রহস্যের গভীরে চলুন ডুব দিই। এই ফুটবল মহাযজ্ঞের সবকিছু, খুঁটিনাটি থেকে শুরু করে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, সবই আপনাদের জন্য বিস্তারিতভাবে তুলে ধরব। তাহলে আর দেরি কেন, চলুন এই ফুটবল উন্মাদনার অলিগলিতে ঘুরে আসি!

আরে ভাই ও বোনেরা, ফুটবলের কথা উঠলে কি আর বসে থাকা যায়! গত বিশ্বকাপের রেশ কাটতে না কাটতেই তো ২০২৬ আর ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। আমার তো মনে হয়, ফিফা প্রতিবারই এমন কিছু চমক নিয়ে আসে যে আমরা ফুটবলপ্রেমীরা সারাবছরই একটা ঘোরের মধ্যে থাকি!

এবার যে পরিবর্তনগুলো আসছে, সেগুলো সত্যি বলতে খেলার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় তৈরি করবে। বিশেষ করে, সৌদি আরবের সেই ‘আকাশচুম্বী স্টেডিয়াম’-এর কথা শুনলে তো কল্পনাও হার মেনে যায়!

ভাবুন তো, মেঘের কোলে বসে ফুটবল ম্যাচ দেখা! এ যেন স্বপ্ন নয়, বাস্তবের চেয়েও বেশি কিছু! চলুন, এই অসাধারণ যাত্রায় আমরা সবাই মিলে ডুব দিই, আর জেনে নিই ফুটবলের এই মহাযজ্ঞে কী কী নতুনত্ব আসছে।

ফুটবল উৎসবের নতুন ঠিকানা: ২০২৬-এর মহাযজ্ঞ

২০২৬ সালের বিশ্বকাপ নিয়ে আমাদের উত্তেজনা তো আকাশছোঁয়া! এবার আর ৩২টা দল নয়, অংশ নেবে মোট ৪৮টা দল! ভাবা যায়? এতগুলো দেশের সমর্থকদের উন্মাদনা, এতগুলো দলের লড়াই – এ যেন ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক বিশাল ভোজ! ফিফার এই সিদ্ধান্তের ফলে ম্যাচের সংখ্যাও কিন্তু অনেক বাড়বে। আগে যেখানে ৬৪টা ম্যাচ হতো, এখন সেটা বেড়ে ১০৪টা হয়ে যাবে! এর মানে হলো, আরও বেশি ম্যাচ, আরও বেশি উত্তেজনা, আরও বেশি সময় ধরে ফুটবল উপভোগ করার সুযোগ! আমার তো মনে হচ্ছে, দিনগুলো কীভাবে কাটবে সেই অপেক্ষায়! এই বিশাল আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে উত্তর আমেরিকার তিন দেশ – যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা আর মেক্সিকো। প্রথমবারের মতো তিন দেশ মিলে এই বিশ্বকাপ আয়োজন করছে, যা সত্যিই এক ঐতিহাসিক ঘটনা। ১৬টি শহরে খেলা হবে, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি, মেক্সিকোর ৩টি আর কানাডার ২টি শহর নির্বাচিত হয়েছে। এত বিশাল ভৌগোলিক বিস্তৃতিতে দল, ফ্যান ও মিডিয়ার জন্য লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ থাকবে ঠিকই, কিন্তু এর ফলে উত্তর আমেরিকার অনেক মানুষের কাছে ফুটবল নতুন করে জনপ্রিয় হবে, আর আমরাও তিন দেশের ভিন্ন সংস্কৃতি উপভোগ করতে পারব। এইবার বিশ্বকাপ জিততে হলে একটি দলকে ফাইনাল পর্যন্ত আটটি ম্যাচ খেলতে হবে, যা আগের চেয়ে একটি বেশি।

বদলে যাওয়া খেলার নিয়মকানুন

আগে গ্রুপ পর্বে ৩২টি দলকে ৮টি গ্রুপে ভাগ করা হতো, যেখানে প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেরা দুটি দল পরের রাউন্ডে যেত। কিন্তু এখন ৪৮টি দলকে মোট ১২টি গ্রুপে ভাগ করা হবে, প্রতি গ্রুপে থাকবে ৪টি দল। এই ফরম্যাটটা ফিফা প্রথমে ১৬টা গ্রুপে ৩টা করে দল নিয়ে করতে চেয়েছিল, কিন্তু পরে ৪টা দলের ১২টা গ্রুপেই সিলমোহর দিয়েছে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেরা দুই দল তো যাবেই, তার সাথে সেরা আটটি তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলও নকআউট পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। অর্থাৎ, রাউন্ড অব ৩২ থেকে নকআউট পর্ব শুরু হবে। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, এটা দারুণ একটা ব্যাপার! কারণ অনেক সময় ভালো দলও গ্রুপ পর্বে একটু খারাপ খেলার জন্য বাদ পড়ে যায়, এখন তাদের জন্য একটা অতিরিক্ত সুযোগ থাকছে। এটা খেলাটাকে আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করে তুলবে বলে আমার বিশ্বাস। এমন পরিবর্তনের ফলে টুর্নামেন্টের উত্তেজনা আরও বাড়বে এবং অপ্রত্যাশিত ফলাফল দেখার সুযোগ তৈরি হবে।

বর্ধিত ম্যাচের আনন্দ আর চ্যালেঞ্জ

১০৪টা ম্যাচ মানে কিন্তু প্রায় ৪০ দিন ধরে ফুটবল উৎসব! এই দীর্ঘ সময় ধরে প্রিয় দলগুলোর খেলা দেখতে পাওয়াটা যেকোনো ফুটবলভক্তের কাছেই স্বপ্নের মতো। তবে এই বর্ধিত ম্যাচের সংখ্যা আয়োজক দেশগুলোর জন্য কিছু চ্যালেঞ্জও নিয়ে আসবে, যেমন – খরচ অনেক বেড়ে যাওয়া। যদিও তিন দেশ মিলে আয়োজন করছে, তারপরও এত বড় মাপের টুর্নামেন্ট সামলানো সহজ কথা নয়। তবে ফিফা মনে করছে, এতে টেলিভিশন সম্প্রচার বাড়বে, টিকিট বিক্রিও বেশি হবে, ফলে রাজস্ব আয়ও অনেক বাড়বে। আমার তো মনে হয়, এতসব চ্যালেঞ্জের মধ্যেও ফুটবল তার নিজস্ব মহিমায় উজ্জ্বল থাকবে, আর আমরাও আরও অনেক অবিস্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী হব।

আকাশছোঁয়া স্টেডিয়াম: ২০৩৪-এর চমক

২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ নিয়ে সৌদি আরব যা পরিকল্পনা করছে, তা শুনে তো আমার চোখ কপালে! ১১৫০ ফুট উচ্চতায়, মরুভূমির বুকে তৈরি হবে এক ‘স্কাই স্টেডিয়াম’! ভাবুন তো একবার, মেঘের কাছাকাছি বসে ফুটবল খেলা! এটা যেন বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর বাস্তব রূপ! সৌদি আরবের ভবিষৎ নগরী ‘নিওম’-এর ‘দ্য লাইন’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই ‘নিওম স্কাই স্টেডিয়াম’ তৈরি হবে। প্রায় ৪৬ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই স্টেডিয়ামটি সম্পূর্ণভাবে নবায়নযোগ্য শক্তি, অর্থাৎ সৌর ও বায়ু শক্তিতে চলবে। এটা সত্যিই এক অসাধারণ উদ্ভাবন, যা পরিবেশবান্ধবতার দিক থেকেও একটা নতুন উদাহরণ তৈরি করবে। আমার তো মনে হয়, এমন একটা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার অভিজ্ঞতা জীবনের সেরা অভিজ্ঞতাগুলোর মধ্যে একটা হবে!

প্রযুক্তির সাথে ফুটবলের মেলবন্ধন

এই স্কাই স্টেডিয়ামে পৌঁছানোর জন্য থাকবে উচ্চগতির লিফট আর স্বয়ংক্রিয় পড ট্রান্সপোর্ট। দর্শকরা যখন স্টেডিয়ামে যাবেন, তখন মরুভূমির মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, মাঠে খেলার অভিজ্ঞতাকে আরও প্রাণবন্ত করতে ব্যবহার করা হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) এবং উন্নত শব্দপ্রযুক্তি। আমি নিজে তো প্রযুক্তির এই ধরনের ব্যবহার দেখতে দারুণ ভালোবাসি! ফুটবল আর প্রযুক্তির এমন মেলবন্ধন খেলাটাকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ২০২৭ সালে এই স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরু হবে এবং ২০৩২ সালের মধ্যে এটি শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে, যাতে ২০৩৪ বিশ্বকাপের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত থাকে। ফিফার অনুমোদন সাপেক্ষে, এই ভেন্যুতে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত ম্যাচ আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে। এটা সত্যিই সৌদি আরবের ভিশন ২০২৩-এর একটা বড় অংশ।

ভবিষ্যতের ফুটবলের পথে

এই ধরনের অত্যাধুনিক স্টেডিয়াম শুধু বিশ্বকাপের জন্য নয়, বরং ভবিষ্যতের ক্রীড়া ও বিনোদন কেন্দ্রের এক দারুণ উদাহরণ। বিশ্বকাপের পর এটি বহুমুখী ক্রীড়া ও বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে এবং নিওমভিত্তিক কোনো ফুটবল ক্লাবের হোম গ্রাউন্ড হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে। তবে হ্যাঁ, এত উচ্চতায় স্টেডিয়াম নির্মাণে প্রকৌশল ও নিরাপত্তাজনিত বড় চ্যালেঞ্জও থাকবে। আর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করাটাও একটা বড় পরীক্ষা। কিন্তু আমার মনে হয়, সৌদি আরব যেহেতু এত বড় স্বপ্ন দেখছে, তারা নিশ্চয়ই সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেবে। এই ধরনের প্রকল্পগুলো সারা বিশ্বের কাছে প্রমাণ করবে যে, ফুটবলের ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি আর উদ্ভাবনের সাথে কতটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

Advertisement

বাঙালির ফুটবলপ্রেম: এক অনন্য উন্মাদনা

আমাদের বাংলাদেশে ফুটবল মানে তো শুধু একটা খেলা নয়, এটা এক আবেগ, এক উন্মাদনা! আমার তো মনে হয়, বিশ্বকাপ এলেই আমাদের পাড়া-মহল্লাগুলো যেন এক রঙিন উৎসবে মেতে ওঠে। ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার পতাকা যখন বাড়ির ছাদ থেকে শুরু করে গাছের মগডালে উড়তে দেখি, তখন মনে হয় যেন আমরাও সেই খেলার অংশ! এই উন্মাদনা শুধু বিশ্বকাপেই সীমাবদ্ধ থাকে না, স্থানীয় খেলাধুলাতেও এর প্রভাব দেখা যায়। কিন্তু বিশ্ব ফুটবলে আমাদের দেশের অবস্থান কেন এত পিছিয়ে, সেই প্রশ্নটা আমার মনেও সবসময় ঘুরপাক খায়। আমাদের এত আবেগ, এত ভালোবাসা সত্ত্বেও কেন আমরা বিশ্বকাপের মঞ্চে যেতে পারি না? আমি দেখেছি, যখন প্রিয় দলগুলো জেতে, তখন কী দারুণ আনন্দ হয় সবার মুখে! আর যখন হেরে যায়, তখন মনটা খারাপ হয়ে যায়, যেন নিজের দলই হেরেছে! এটাই তো বাঙালির ফুটবলপ্রেম। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে আরও অনেক বেশি উদ্যোগ দরকার, যাতে আমাদের এই উন্মাদনা শুধু বিদেশি দলগুলোর জন্য না থেকে নিজেদের দেশের ফুটবলের জন্যও থাকে।

পতাকায় মোড়া শহর, আড্ডায় ফুটবল

বিশ্বকাপের সময়টায় ঢাকা থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত সবখানে একটা উৎসবের আমেজ থাকে। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন পর্যন্ত, সব জায়গায় চলে ফুটবল নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ আর জয়-পরাজয়ের হিসাবনিকাশ। প্রিয় দলের জার্সি পরে ঘোরাফেরা করা, বন্ধুদের সাথে বাজি ধরা, আর রাত জেগে খেলা দেখা – এ যেন আমাদের সংস্কৃতিরই অংশ হয়ে গেছে। একবার মনে আছে, আমি নিজেও বন্ধুদের সাথে বাজি ধরেছিলাম কোন দল জিতবে, আর যখন আমার দল জিতল, কী যে আনন্দ হয়েছিল! সেই স্মৃতিগুলো এখনও আমার চোখে ভাসে। এমনকি এখন তো বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের টিকিট নিয়েও অনলাইনে কী দারুণ উন্মাদনা দেখা যায়! এটা প্রমাণ করে যে, দেশের ফুটবল নিয়ে আমাদের আগ্রহ কম নয়।

আমাদের ফুটবলের সম্ভাবনা

আমাদের দেশে স্কুল পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সভিত্তিক ফুটবল প্রতিযোগিতাগুলো অনেক ভালো করছে। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতা তো এক দারুণ উদাহরণ, যেখানে প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখের বেশি মেয়ে ফুটবলার অংশ নিচ্ছে। এটা সত্যিই দেশের ফুটবলের জন্য একটা বড় পাওয়া। আমাদের মেয়ে ফুটবলাররা দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে, যা দেখে আমার বুক গর্বে ভরে যায়। আমার বিশ্বাস, যদি আমরা এই ধরনের উদ্যোগগুলোকে আরও বেশি সমর্থন দিই, জেলা লিগগুলোকে আরও সচল করি, আর ক্লাবগুলোকে পেশাদারিত্বের দিকে ঠেলে দিই, তাহলে একদিন আমাদের দেশও বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলার স্বপ্ন দেখতে পারবে। বাংলাদেশের জাতীয় দল নিয়েও দর্শকদের আগ্রহ বেড়েছে, বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশি ফুটবলারদের যোগদানের কারণে।

বিশ্বকাপের অর্থনৈতিকে প্রভাব: খেলা এবং ব্যবসা

ফুটবল বিশ্বকাপ মানে শুধু মাঠের খেলা নয়, এটা একটা বিশাল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও বটে। প্রতি চার বছর পর পর এই মহাযজ্ঞ সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে একটা বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। ভাবুন তো, বিশ্বকাপ আয়োজন করতে কত টাকা খরচ হয়! স্টেডিয়াম তৈরি করা, অবকাঠামো উন্নয়ন করা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা – সব মিলিয়ে বিশাল একটা বাজেট। তবে এর থেকে আয়ও কিন্তু নেহাত কম নয়। টিকিট বিক্রি, টেলিভিশন সম্প্রচার স্বত্ব, বিজ্ঞাপন, পর্যটন – সবকিছু মিলিয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা। আমার মনে আছে, ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপের আগে অনেকে ভেবেছিল, এর ফলে তাদের অর্থনীতি চাঙা হবে। কিন্তু পরে দেখা গেল, স্টেডিয়াম বানাতে যে খরচ হয়েছিল, তার থেকে লাভ বেশি হয়নি। এমনটা অনেক সময় হয়, তাই আয়োজক দেশগুলোকে খুব সাবধানে পরিকল্পনা করতে হয়।

পর্যটন ও কর্মসংস্থান

বিশ্বকাপের সময় দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটক আসে খেলা দেখতে। এতে হোটেল, রেস্টুরেন্ট, পরিবহন শিল্প – সবকিছুরই ব্যবসা বাড়ে। এটা স্থানীয় অর্থনীতিতে একটা দারুণ চাঙ্গা ভাব নিয়ে আসে। পর্যটকদের আনাগোনা মানেই তো নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হওয়া। আমি দেখেছি, বিশ্বকাপের সময় আমাদের দেশেও বিভিন্ন দোকানে জার্সি, পতাকা আর অন্য ফুটবল সরঞ্জাম বিক্রির ধুম পড়ে যায়। এটা এক ধরনের অর্থনীতিকে তো অবশ্যই গতিশীল করে। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, পর্যটকেরা নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করেন। তাই অনেক সময় বড় ইভেন্টের কারণে বেশি ভিড় হবে ভেবে অনেকে আবার সেই সময় ভ্রমণ বাতিলও করেন। তাই আয়োজক দেশগুলোকে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় সুযোগ সুবিধা তৈরি করতে হয়, যাতে তারা বিশ্বকাপ দেখতে আসে এবং দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখে।

ব্র্যান্ডিং এবং পরিচিতি

বিশ্বকাপ আয়োজন করা মানে শুধু খেলা দেখানো নয়, এটা একটা দেশের জন্য নিজেদের বিশ্বজুড়ে পরিচিত করারও একটা বড় সুযোগ। কাতারের কথাই ভাবুন, ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের পর সারা বিশ্বে তাদের পরিচিতি কতটা বেড়েছে! নতুন স্টেডিয়াম, আধুনিক অবকাঠামো আর বিশ্বমানের আয়োজন – এসবই কিন্তু দেশের ব্র্যান্ডিং-এর অংশ। এর ফলে ভবিষ্যতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়, আন্তর্জাতিক সম্পর্কও উন্নত হয়। আমার মনে হয়, সৌদি আরব যে ২০৩৪ সালের জন্য এত বড় পরিকল্পনা করছে, তার পেছনে এই ব্র্যান্ডিং-এর একটা বড় ভূমিকা আছে। দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে আর নিজেদের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি দেখাতে এই ধরনের মেগা ইভেন্টগুলো খুবই জরুরি।

Advertisement

ফুটবল বিশ্বকাপের বিবর্তন: সময়ের সাথে পরিবর্তন

ফিফা বিশ্বকাপ কিন্তু শুরু থেকেই এমন ছিল না। ১৯৩০ সালে মাত্র তেরটি দল নিয়ে শুরু হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা। তারপর থেকে সময়ের সাথে সাথে অনেক পরিবর্তন এসেছে। দলের সংখ্যা বেড়েছে, খেলার নিয়মকানুন পাল্টেছে, এমনকি বলের ডিজাইন থেকে শুরু করে স্টেডিয়ামের প্রযুক্তিতেও এসেছে অনেক নতুনত্ব। আমার মনে আছে, ছোটবেলায় আমরা সাদা-কালো টিভিতে খেলা দেখতাম, তখন বলগুলোও কেমন যেন সাদামাটা ছিল। কিন্তু এখনকার বলগুলো দেখুন, কী দারুণ ডিজাইন, কী দারুণ গতি! এসবই তো সময়ের সাথে ফুটবলের বিবর্তন। প্রতিটি বিশ্বকাপই তার নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসে, যা ফুটবলপ্রেমীদের মনে চিরস্থায়ী হয়ে থাকে।

নিয়ম ও প্রযুক্তির আধুনিকায়ন

আগে যেখানে বিশ্বকাপ জিততে হলে একটি দলকে সাতটি ম্যাচ খেলতে হতো, এখন সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আটটি ম্যাচে। এটা খেলার ধরনকে আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। এছাড়াও প্রযুক্তির ব্যবহার এখন ফুটবলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। VAR (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি) থেকে শুরু করে গোল-লাইন প্রযুক্তি – এসবই খেলাটাকে আরও স্বচ্ছ আর নির্ভুল করেছে। আমার মনে হয়, এই ধরনের প্রযুক্তিগত পরিবর্তনগুলো খেলাটাকে আরও উপভোগ্য করে তোলে, যদিও কখনো কখনো বিতর্ক তৈরি হয়। ভবিষ্যতের স্টেডিয়ামগুলোতে যেমন এআই এবং এআর প্রযুক্তির কথা বলা হচ্ছে, তা খেলা দেখার অভিজ্ঞতাকে সম্পূর্ণ নতুন মাত্রা দেবে।

বিশ্ব ফুটবলের প্রসার

ফিফা সবসময় চেষ্টা করে ফুটবলকে বিশ্বের কোণায় কোণায় ছড়িয়ে দিতে। ৪৮টি দলের বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্তও সেই প্রচেষ্টারই অংশ। এর ফলে আরও অনেক ছোট দেশ বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের প্রমাণের সুযোগ পাবে। আমার মনে হয়, এটা দারুণ একটা ব্যাপার, কারণ ফুটবল শুধু কয়েকটি শক্তিশালী দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সারা বিশ্বের সবার কাছে পৌঁছাতে পারবে। এশিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, উত্তর আমেরিকা – সব মহাদেশের দেশগুলো এখন আরও বেশি করে বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন দেখতে পারবে। এতে বিশ্ব ফুটবলের মানও আরও বাড়বে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমি দেখেছি, যখন কোনো নতুন দল বিশ্বকাপে খেলে, তখন সেই দেশের মানুষের উন্মাদনা দেখে মন ভরে যায়।

২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ও ভেন্যু

২০২৬ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজন করছে উত্তর আমেরিকার তিন দেশ – যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডা। এই তিন দেশ মিলে মোট ১৬টি শহরে খেলা অনুষ্ঠিত হবে। আমার তো মনে হয়, এতগুলো শহরে খেলা হওয়া মানেই দর্শকদের জন্য একটা দারুণ অভিজ্ঞতা, যেখানে তারা বিভিন্ন শহরের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য উপভোগ করতে পারবে। এই বিশ্বকাপটি শুধু খেলার দিক থেকে নয়, বরং ভৌগোলিক বিস্তৃতির দিক থেকেও এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

দেশ শহরের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভেন্যু (কিছু উদাহরণ)
যুক্তরাষ্ট্র ১১ আটলান্টা (মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়াম), বোস্টন (জিলেট স্টেডিয়াম), ডালাস (এটি অ্যান্ড টি স্টেডিয়াম), লস অ্যাঞ্জেলস (সোফি স্টেডিয়াম), নিউইয়র্ক/নিউজার্সি (মেটলাইফ স্টেডিয়াম)
মেক্সিকো গুয়াদালাহারা (এস্তাদিও আকরোন), মেক্সিকো সিটি (এস্তাদিও আজতেকা), মন্তেরেই (এস্তাদিও বিবিভিএ বানকোমার)
কানাডা টরন্টো (বিএমও ফিল্ড), ভ্যাঙ্কুভার (বিসি প্লেস)

বহুসংস্কৃতির মিলনমেলা

এই তিন দেশের যৌথ আয়োজন আসলে ফুটবলকে একটি বহুসংস্কৃতির মিলনমেলায় পরিণত করবে। প্রতিটি শহরের নিজস্ব ঐতিহ্য, খাবার আর আতিথেয়তা বিশ্বকাপকে আরও রঙিন করে তুলবে। আমার তো মনে হয়, এমন একটা সুযোগ পেলে আমি নিজেই সব শহর ঘুরে ঘুরে খেলা দেখতে চাইতাম! দর্শকদের জন্য এটা শুধু খেলা দেখার সুযোগ নয়, বরং নতুন জায়গা ঘুরে দেখারও একটা বড় কারণ। এই আয়োজনগুলো দেশের পর্যটন শিল্পেও নতুন গতি আনবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ

এতগুলো শহর আর দেশের মধ্যে সমন্বয় করাটা নিঃসন্দেহে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। দলগুলোর যাতায়াত, ভক্তদের থাকার ব্যবস্থা, আর বিভিন্ন ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজন – সবকিছুই খুব সাবধানে পরিকল্পনা করতে হবে। তবে আমার বিশ্বাস, ফিফা এবং আয়োজক দেশগুলো মিলে এই চ্যালেঞ্জগুলো সফলভাবে মোকাবেলা করবে। এই ধরনের বড় ইভেন্টগুলো সাধারণত নতুন পরিকাঠামো নির্মাণ এবং বিদ্যমান পরিকাঠামোর উন্নয়নে সহায়তা করে, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের উপকারে আসে।

Advertisement

বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব: কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে মূল মঞ্চে

৪৮টি দল খেলবে মানেই বাছাইপর্ব আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে! বিভিন্ন মহাদেশ থেকে দলগুলো নিজেদের সেরাটা দিয়ে লড়বে মূল মঞ্চে জায়গা করে নেওয়ার জন্য। আমার তো মনে হয়, বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোও বিশ্বকাপের ম্যাচের মতোই উত্তেজনাপূর্ণ হয়, কারণ প্রতিটি দেশের জন্যই এটা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের একটা বড় সুযোগ। এখন প্রতিটি কনফেডারেশন বা মহাদেশীয় ফুটবল সংস্থাকে একটি নির্দিষ্ট কোটা দেওয়া হয়েছে, যা তাদের অঞ্চলভিত্তিক প্রতিযোগিতার মান, অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা এবং সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়েছে। ইউরোপ পাবে ১৬টি স্লট, আফ্রিকা ৯টি, এশিয়া ৮টি, দক্ষিণ আমেরিকা ৬টি, উত্তর আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান ৬টি, এবং ওশেনিয়া ১টি। এছাড়া দুটি দল প্লে-অফের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। আয়োজক তিন দেশ সরাসরি মূলপর্বে খেলবে।

ইতিমধ্যেই যোগ্যতা অর্জনকারী দলগুলো

কিছু দল তো ইতিমধ্যেই ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে! আয়োজক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো আর কানাডা তো আছেই। এছাড়া এশিয়ার জাপান, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান আর জর্ডানও নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা আর ওশেনিয়া থেকে নিউজিল্যান্ডও যোগ্যতা অর্জন করেছে। আমার তো মনে হয়, এই দলগুলো নিশ্চয়ই দারুণ প্রস্তুতি নিচ্ছে মূল মঞ্চে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার জন্য। বাকি দলগুলোর জন্য বাছাইপর্ব এখনো চলমান, আর আমি তো অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি আর কোন কোন দল এই মহাযজ্ঞে যোগ দেয় সেটা দেখার জন্য।

বাছাইপর্বের জটিলতা ও সুযোগ

বিশেষ করে এশিয়ার বাছাইপর্ব কিন্তু বেশ জটিল, যেখানে পাঁচটি ধাপে দলগুলোকে লড়তে হবে। এটা যেমন কঠিন, তেমনই নতুন দলগুলোর জন্য একটা দারুণ সুযোগ। আমার মনে হয়, ফিফার এই নতুন ফরম্যাট অনেক ছোট দেশকেও বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন দেখাবে, যা বিশ্ব ফুটবলের প্রসারের জন্য খুবই জরুরি। প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ একটি ভুলই স্বপ্ন ভাঙতে পারে। প্রতিটি দলের খেলোয়াড় এবং কোচদের উপর চাপ থাকবে তাদের সেরা পারফরম্যান্স দেওয়ার জন্য, যা খেলার মানকে আরও উন্নত করবে।

ফুটবলের ভবিষ্যৎ: প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও টেকসই উন্নয়ন

ফুটবল শুধু বর্তমানের খেলা নয়, এটা ভবিষ্যতেরও খেলা। আমরা যে ২০৩৪ সালের স্কাই স্টেডিয়ামের কথা শুনছি, সেটা তো ভবিষ্যতের ফুটবলের এক ঝলক মাত্র। ফিফা সবসময় চেষ্টা করে খেলাটাকে আরও বেশি উদ্ভাবনী আর টেকসই করে তুলতে। এর মধ্যে রয়েছে পরিবেশবান্ধব স্টেডিয়াম নির্মাণ, প্রযুক্তির ব্যবহার, আর খেলাটাকে সবার জন্য আরও বেশি সহজলভ্য করে তোলা। আমার তো মনে হয়, এই পরিবর্তনগুলো খেলাটাকে আরও বেশি রোমাঞ্চকর আর আকর্ষণীয় করে তুলবে।

পরিবেশবান্ধব স্টেডিয়াম

সৌদি আরবের স্কাই স্টেডিয়ামটি সম্পূর্ণভাবে নবায়নযোগ্য শক্তিতে পরিচালিত হবে, এটা সত্যিই একটা দারুণ উদাহরণ। এমন পরিবেশবান্ধব স্টেডিয়াম নির্মাণ ভবিষ্যতের জন্য খুবই জরুরি, কারণ জলবায়ু পরিবর্তন এখন বিশ্বের একটা বড় সমস্যা। ফিফা এবং বিভিন্ন দেশ এই ব্যাপারে সচেতন হচ্ছে, এটা দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। ভবিষ্যতে আমরা হয়তো আরও অনেক এমন পরিবেশবান্ধব স্টেডিয়াম দেখতে পাব, যা শুধু খেলাধুলার জন্য নয়, বরং পরিবেশ সংরক্ষণের জন্যও একটা বার্তা দেবে।

স্মার্ট সিটি ও ফুটবল

নিওম প্রকল্পের মতো স্মার্ট সিটিগুলো শুধু আধুনিক জীবনযাত্রার ধারণাই দেয় না, বরং ভবিষ্যতের ক্রীড়া অবকাঠামোরও একটা অংশ হয়ে উঠছে। যেখানে এআই, এআর আর উন্নত শব্দপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, তা তো কল্পনারও অতীত! আমার মনে হয়, এই ধরনের শহরগুলো ফুটবলের ভবিষ্যৎকে আরও বেশি প্রযুক্তি নির্ভর করে তুলবে, যেখানে ভক্তরা খেলা দেখার এক নতুন অভিজ্ঞতা পাবে। এই সব উদ্ভাবন শুধু দর্শকদের আকর্ষণ করবে না, বরং খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের মান উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Advertisement

글을মাচি며

এই যে বন্ধুরা, ফুটবলের এই অসাধারণ যাত্রায় আমার সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ! সত্যি বলতে, ২০২৬ এবং ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ যে কী দারুণ হতে চলেছে, তা ভেবেই আমি উত্তেজিত। ফুটবলের ভবিষ্যৎ যে শুধু খেলাধুলাই নয়, বরং প্রযুক্তি, উদ্ভাবন আর পরিবেশবান্ধবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত হতে চলেছে, তা আমরা সবাই দেখলাম। আমার তো মনে হয়, সামনের দিনগুলোতে ফুটবল আরও অনেক নতুন চমক নিয়ে আমাদের সামনে আসবে, যা আমাদের এই প্রিয় খেলাকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আসুন, আমরা সবাই এই উত্তেজনার অংশীদার হয়ে থাকি, আর অপেক্ষা করি ফুটবলের এই নতুন অধ্যায়ের জন্য!

알아두면 쓸모 있는 정보

১. ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ হবে ৪৮টি দলের অংশগ্রহণে, যেখানে মোট ১০৪টি ম্যাচ খেলা হবে। এর আয়োজক দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো, যা এক নতুন ইতিহাস গড়বে।

২. ফুটবলের নতুন ফরম্যাটে প্রতিটি গ্রুপে ৪টি করে দল থাকবে, এবং সেরা ৮টি তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলও নকআউট পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। এর ফলে খেলার উত্তেজনা আরও বাড়বে।

৩. ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপের জন্য সৌদি আরবের ‘নিওম স্কাই স্টেডিয়াম’ এক বিশাল চমক। ১১৫০ ফুট উচ্চতায় এই স্টেডিয়াম সম্পূর্ণ নবায়নযোগ্য শক্তিতে চলবে।

৪. ফুটবলের ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিনির্ভর হবে, যেখানে স্টেডিয়ামগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) এবং উন্নত শব্দপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।

৫. আমাদের বাংলাদেশে ফুটবল মানেই এক অনন্য উন্মাদনা! বিশ্বকাপ এলেই দেশের প্রতিটি কোণে উৎসবের আমেজ দেখা যায়, যা প্রমাণ করে আমাদের ফুটবলপ্রেম কতটা গভীর।

Advertisement

중요 사항 정리

এটা কিন্তু শুধু খেলার পরিবর্তন নয়, ফুটবলের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক প্রভাবও ব্যাপক। পর্যটন থেকে শুরু করে কর্মসংস্থান, সবকিছুতেই বিশ্বকাপ একটা বড় ভূমিকা রাখে। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে ৪৮টি দলের অংশগ্রহণ এবং ২০৩৪ সালের অত্যাধুনিক স্টেডিয়ামের পরিকল্পনা ফুটবলের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। আর হ্যাঁ, আমাদের বাঙালির ফুটবলপ্রেমের কথা তো না বললেই নয়! আশা করি, এই পরিবর্তনগুলো বিশ্ব ফুটবলের মান আরও উন্নত করবে, আর আমরাও আরও অনেক অবিস্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী হব। সবাই ভালো থাকুন, আর ফুটবলের সাথেই থাকুন!

📚 তথ্যসূত্র


➤ 1. FIFA 월드컵 – Wikipedia

– Wikipedia Encyclopedia